নমস্কার......
আমি আদিশ্ৰী......! আমি একজন ছাত্রী কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমার বাড়ী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আসানসোলের এক ছোট্ট শহরে।অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম কিছু লিখবো কিন্ত ঠিক সাহস পাচ্ছিলাম না যে কি বিষয়ে লিখবো আর আদৌ মানুষ  পড়বে কি না। ......
কাহিনীটা হলো একটা মেয়ের
আমার জীবনের সাথে অনেক মেল আছে। তার মানে সেই মেয়েটা আমি কি না তা জানতে আমার লেখা এই কাহিনী টি তার আগে পড়তে হবে। 
ঠিক কোথা থেকে আরম্ভ করবো ঠিক বুঝতে পারছি না। 
মেয়ে তার নাম হলো রেখা। তাদের পরিবার মা বাবা ও দুই বোন এবং এক ভাই। বাড়ির বড়ো মেয়ে হলো রেখা। বোন এর নাম জয়া আর ছোট্ট ভাই এর নাম  বাবাই। বাবা দেবী হলেন একটা কারখানার একজন শ্রমিক আর মা গৃহবধূ। রেখা আর জয়া এখন গ্রাজুয়েশন করছে।জয়া রেখার থেকে তিন বছরের ছোট। বাবাই এখন অনেক ছোট সে এখন ক্লাস ফোর এ পড়ে এক প্রাইভেট স্কুলে।এটা তো হলো ফ্যামিলি ডেসক্রিপশন। এবার আসা যাক গল্পে। 
যখন রেখার তিন থেকে সাড়ে তিন বছর বয়স সেই সময় থেকে তার অনেক কথায় স্মৃতি হয়ে তার মস্তিসকে রয়েছে ভাবলে অবাক লাগে যে ওই বয়সের ও কথা তার মনে আছে। যাই হোক ,সেই সময় তার বোন তার মায়ের মাতৃ গর্ভে রয়েছে।কিন্ত রেখা তো তখন অনেক ছোট্ট এসব ব্যাপারে তেমন কিছু সে জানে না।  সব কিছু ঠিক ই চলছিল হঠাৎ এক বৃষ্টি ভেজা রাত্রে তার মা  রিতা র আর্তনাদ শুরু হয় প্রসব বেদনার যন্ত্রনা জানাই সাথে সাথেই সেখানের স্থানীয়হাসপাতালে ভর্তি হয় রেখার মা।ছোট্ট রেখা ভাভিল অতক্ষন যে হয়তো কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে কিন্ত এ কি রেখা ক তো রেখার মা এর কাছ থেকে আলাদা করে দিচ্ছে সে তো কিছুই বুঝতে পারছে না যে কি হচ্ছে। 
কিছুক্ষন পর ডাক্তার বাবু এসে জানান যে আপ্নারা বাড়ি যান বাচ্চাকে নিয়ে এখানে থাকা চলবে না। বাচ্চা কে রেখে আসুন। রেখার বাবা রেখা ক কোলে করে বাড়ি নিয়ে আসে তখন অনেক রাত্রি হয়েছে। রেখা কে রেখার বাবা বলে বিটা টমি ঘরে এক থাকতে পারবে না ঠাম্মার কাছে যাবে।রেখা বললো না আমি মায়ের কাছে যাবো।মায়ের কি হয়েছে বলো না বাবা....!বাবা কিছু না জানিয়েই তাকে ঠাম্মার কাছে নিয়ে যাই সেখানে তার ঠাম্মা,জেঠু,জেঠুর মেয়ে রা রয়েছে,একটা কথা তো  
   বলাই হয়নি যখন রেখা মাত্র চার মাসের তখন তার জেঠিমা মারা যাই তাই জেঠুর মেয়ে রা তার ঠাম্মার কাছে প্রতিপালিত।

Continue  ......
 

Comments